ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর ৬০টি টিপস
ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর উপায়ে আপনি খুজে পাচ্ছেন না কিভাবে
ভিজিটর বাড়াবেন। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলটি
ভিজিটর বাড়ানো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে
নিচে আপনার জন্য ফ্রিতে কিভাবে ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর উপায়
নিয়ে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। সেখান থেকে আপনি কিভাবে ভিজিটর বাড়িয়ে আপনার
ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর উপায়
- ভিজিটর কি? ভিজিটর বলতে কি বুঝায়
- সঠিক ও উপযুক্ত কী-ওয়ার্ড নিবার্চন করুন
- ইউনিক আর্টিকেল লেখার গুরুত্ব
- আর্টিকেলের কোয়ালিটি বজায় রাখা
- ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করা
- আর্টিকেল সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করা
- সোশ্যাল বুক-মার্কিং ও গেষ্ট ব্লগিং করা
- ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক তৈরি করা কী?
- নিয়মিত আর্টিকেল লেখে পাবলিশ করা
- ইউজার এক্সপেরিয়েন্স কি? এর কাজ কি
- অন-পেজ SEO এর মাধ্যমে কিভাবে ভিজিটর আনবেন
- লেখকের শেষ কিছু কথা
ভিজিটর কি? ভিজিটর বলতে কি বুঝায়
ভিজিটর শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হলো দর্শনার্থী বা আগত ব্যক্তি। যেকেউ কোনো
নির্দিষ্ট স্থানে, ওয়েবসাইটে , দোকান বা প্রতিষ্ঠানে আসে তাকে ভিজিটর বলা হয়।
যেমন, একজন মানুষ যদি বন্ধুর বাড়িতে যায়, তিনি সেখাঙ্কার ভিজিটর। বাস্তব জীবনে
ভিজিটর মানে হলো সাময়িক ভাবে কোথাও উপস্থিত হওয়া একজন ব্যক্তি, যিনি কোনো
প্রয়োজন, কাজের উদ্দেশ্যে সেই স্থানে আসেন। একটি ওয়েবসাইটে যারা প্রবেশ করে, তারা
সবাই ভিজিটর হিসাবে গন্য হয়। উদাহরণ স্বরূপ, আপনি যদি কোনো ব্লগে বা অনলাইনে
দোকান খুলে দেখেন, তবে আপনি সেই ওয়েবসাইটের একজন ভিজিটর।
ভিজিটরের মাধ্যমেই একটি ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা ও ট্রাফিক নির্ধারণ করা হয়। ভিজিটর
যত বেশি হবে সেই ওয়েবসাইটের পরিচিতি আয় মূল্য তত বেশি হবে। এজন্য অনলাইনে কাজ করা
ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানগুলো সবসময় বেশি সংখ্যক ভিজিটর আকর্ষণ করার চেষ্টা করে। আরো
সহজ ভাবে বলতে গেলে ভিটর বলতে বোঝায় এমন একজন মানুষ, যিনি কোনো বাস্তব স্থানে বা
ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত হন এবং নির্দিষ্ট প্রয়োজন মেটানোর জন্য আসেন। তারা যে
স্থানে যান, সেখানে নতুন তথ্য, অভিজ্ঞতা বা সেবা লাভ করেন।
সঠিক ও উপযুক্ত কী-ওয়ার্ড নিবার্চন করুন
কনটেন্ট বা ওয়েবসাইটের জন্য সঠিক ও উপযুক্ত কী-ওয়ার্ড নির্বাচন করা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। কী-ওয়ার্ড হচ্ছে সেই শব্দ বা বাক্যাংশ, যা মানুষ গুগল বা অন্য
সার্চ ইঞ্জিনে লিখে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য খোঁজা। তাই কনটেন্ট লিখতে গেলে প্রথমে
খুঁজে বের করতে হবে, আপনার পাঠক্রা কোন শব্দগুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেছে। এ
জন্য কী-ওয়ার্ড রিসার্চ টুল ব্যহার করা যায়, যেমন -Ubersuggest, Google Keyword
Planner । এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কোন কী-ওয়ার্ডের সার্চ ভলিউম বেশি
কোনটিতে প্রতিযোগিতা কম এবং কোনগুলো আপনার কনটেন্টের সাথে সবচেয়ে বেশি
সম্পর্কিত।
সঠিক কী-ওয়ার্ড নির্বাচন মানে কেবল জনপ্রিয় শব্দ বেছে নেওয়া নয়, বরং আপনার
কনটেন্টের উদ্দেশ্য অনুযায়ী লং টেইল কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করা। যেমন আপনি শুধু
"অনলাইনে আয়" লেখলে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি হবে, কিন্তু " বাংলাদেশে অনলাইন আয়
করার উপায়" এইটা লেখলে এটি হবে আরও নির্দিষ্ট এবং সহজে র্যাংক করার মতো
কী-ওয়ার্ড। তাই সবসময় পাঠকের মনোভাব ও চাহিদা বিবেচনা করে কী-ওয়ার্ড নির্বাচন
করতে হবে এতে করে আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর উপায় কাজে লাগবে এবং সহজে
রেজাল্ট ভালো আসবে আপনার।
ইউনিক আর্টিকেল লেখার গুরুত্ব
ইউনিক আর্টিকেল হলো এমন একটি লেখা, যা সম্পূর্ণ নিজের ভাষায় তৈরি এবং অন্য
কোথাও থেকে কপি করা নয়। ইন্টারনেটে অসংখ্য ব্লগ ও ওয়েবসাইট থাকলেও যেসব কনটেন্ট
আলাদা ও নতুন তথ্য দেয়, সেইগুলোই বেশি জনপ্রিয় হয়। কারণ গুগল ও অন্যান্য সার্চ
ইঞ্জিন সবসময় ইউনিক কনটেন্টকে অগ্রাধিকার দেয়। আপনি যদি নিজস্ব চিন্তা,
অভিজ্ঞতা ও গবেষণার মাধ্যমে লেখা তৈরি করেন, তবে পাঠকেরা তাতে আস্থা পায় এবং
দীর্ঘ সময় ধরে আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে।
ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর উপায় একটি ইউনিক আর্টিকেল শুধু SEO তে
সাহায্য করে না, বরং পাঠকের কাছে আপনার ব্রান্ড বা ওয়েবসাইটকে বিশ্বস্ত করে তোলে।
একই বিষয়ের উপর অনেক লেখা থাকতে পারে, কিন্তু যদি আপনি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, বাস্তব
উদাহরণ, কিংবা সহজ ভাষায় বিশ্লেষণ দেন,তবে সেটি অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে দাঁড়াবে।
তাই কপি-পেস্ট থেকে এড়িয়ে গিয়ে নিজের আইডিয়া, অভিজ্ঞতা ও গবেষণা কাজে লাগিয়ে
সবসময় ইউনিক আর্টিকেল তৈরি করা জরুরি।
আর্টিকেলের কোয়ালিটি বজায় রাখা
একটি আর্টিকেলের মূল শক্তি হলো তার মান বা কোয়ালিটি। পাঠক যখন কোনো লেখা পড়তে
আসে, তখন সে তথ্যবহুল পরিষ্কার ও নির্ভরযোগ্য কনটেন্ট আশা করে। কোয়ালিটি বজায়
রাখতে হলে লেখার বানান ও ব্যাকরণের ভুল এড়িয়ে চলা জরুরি। পাশাপাশি তথ্যগুলো যেন
সত্য, প্রমাণযোগ্য ও পাঠকের প্রয়োজন অনুযায়ি হয়, সেদিকেও খিয়াল রাখতে হবে।
আর্টিকেলের ভাষা যত সহজ হবে পাঠকের জন্য পড়তে তত সহজ হবে। এজন্য ছোট প্যারা
ব্যবহার উপশিরোনাম দেওয়া এবং বিষয়ভিত্তিক সাজানো লেখা কোয়ালিটি উন্নত করতে
সাহায্য করে।
ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর উপায় কোয়ালিটি বজায় রাখার জন্য কেবল
লেখার ধরন নয়,বরং ইউনিকনেস ও SEO এর গুরুত্ব ও অনেক বেশি। একই বিষয় নিয়ে অনেক
লেখা থাকলেও নিজের লেখাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে হবে। পাঠকের চাহিদা
অনুযায়ী সঠিক কী-ওয়ার্ড ব্যবহার, গ্রাফিক্স বা উদাহরণ সংযোজনও লেখার মান
বাড়ায়। সবশেষে, একটি ভালো আর্টিকেল এমন হতে হবে যা পাঠকের সমস্যা সমাধান করে
এবংতাকে সন্তুষ্ট করে তুলে।
ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করা
একটি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করার পর সেটিকে সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কারণ সাবমিট না করলেও গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন আপনার
ওয়েবসাইটকে সহজে খুঁজে পাবেনা। সাবমিট করার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনের বট বা
ক্রলার আপনার সাইট স্ক্যান করে এবং এর পেজগুলো ইনডেক্স করতে শুরু করে। ফলে যখন
কেউ নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করবে, তখন আপনার ওয়েবসাইটও সার্চ রেজাল্টে
আসার সুযোগ পাবে। এটি মূলত ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে পরিচিতি করার
প্রক্রিয়া। গুগল ওয়েবসাইট সাবমিট করার জন্য ব্যবহৃত টুল Google Search Console
।
এখন থেকে আপনি ওয়েবসাইটের Sitemap সাবমিট করতে পারেন, যা সার্চ ইঞ্জিঙ্কে
আপনার ওয়েবসাইটের সব পেজ সম্পর্কে জানায়। একইভাবে Bing Webmaster Tools ব্যবহার
করে মাইক্রোসফটের সার্চ ইঞ্জিনেও সাইট সাবমিট করা যায়। নিয়মিত সাবমিট ও আপডেট
করলে সার্চ ইঞ্জিন দ্রুত আপনার নতুন কনটেন্ট ইনডেক্স করে। যা ভিজিটর বাড়াতে বড়
ভূমিকা রাখে।তাই যেকোনো ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর উপায় এ ওয়েবসাইটে চালূ করার
পরপরই সেটিকে সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করা উচিত।
আর্টিকেল সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করা
সোশ্যাল মিডিয়ায় আর্টিকেল শেয়ার করা আজকের ডিজিটাল যুগে কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের
একটি কার্যকর উপায়। বর্তমানে মানুষ খবর, তথ্য, বিনোদন কিংবা যেকোনো রকম জ্ঞান
অর্জনের জন্য ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার সহ বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম
ব্যবহার করে থাকে। একটি মানসম্মত ও ইউনিক আর্টিকেল যখন আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া
প্রোফাইল বা পেজে শেয়ার করেন, তখন সেটি দ্রুতই অনেক মানুষের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ
তৈরি করে। এতে শুধু ভিজিটর বাড়ে না বরং আপনার ব্র্যান্ড বা ওয়েবসাইটের
বিশ্বাসযোগ্যতাও বৃদ্ধি পায়।
আর্টিকেল শেয়ার করার সময় আকর্ষনীয় শিরোনাম, হ্যাশট্যাগ, সুন্দর একটি থাম্বনেইল
ছবি এবং একটি বর্ণনা ব্যবহার করলে পাঠকের আগ্রহ আরও বাড়ে। একই সঙ্গে নিয়মিত শেয়ার
করার মাধ্যমে আপনি একটি লয়্যাল অডিয়েন্স তৈরি করতে পারবেন। যারা আপনার নতুন
কনটেন্ট দেখার অপেক্ষায় থাকবে।এভাবে সোশ্যাল মিডিয়া আপনার ওয়েবসাইটে ব্লগার
ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর উপায় শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
তাই শুধু আর্টিকেল লিখলেই হবে না, বরং সেটি সঠিক সময়ে এবং কমেন্টে যোগাযোগ রাখা,
তাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং শেয়ার বা লাইক করার অনুরোধ করাও কনটেন্টের রিচ
বাড়াতে সাহায়ক ভূমিকা রাখে। সব মিলিয়ে, আর্টিকেল সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার
মানে শুধু ভিজিটর আনা নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে একটি শক্তিশালী কমিউনিটি তৈরি করা। তাই
আপনাদেরকে ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর উপায় এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়াতে খুব
বেশি খিয়াল রাখতে হবে।
সোশ্যাল বুক-মার্কিং ও গেষ্ট ব্লগিং করা
সোশ্যাল বুকমার্কিং এবং গেস্ট ব্লগিং ডিজিটাল মার্কেটিং ও ওয়েবসাইট ট্রাফিক
বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। সোশ্যাল বুকমার্কিং হলো এমন একটি
প্রক্রিয়া যেখানে ওয়েবপেজে বা ব্লগ পোস্টকে বিভিন্ন অনলাইন বুকমার্কিং সাইটে
যুক্ত করা হয়, যেমন Reddit, Digg, Pocket ইত্যাদি। এটি কেবল আপনার কনটেন্টকে
দ্রুত মানুষের কাছে পৌঁছে দেয় না, বরং সার্চ ইঞ্জিন র্যাংক বাড়াতে সাহায্য করে।
সোশ্যাল বুকমারকিং ব্যবহার করলে ব্যবহারকারীরা আপনার পোস্টকে সহজেই সংরক্ষন করতে
পারে এবং অন্যান্য মানুষের সঙ্গে শেয়ার করতে পারে, ফলে অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি
পায়। এছাড়াও এই কৌশলটি আপনার কনটেন্টের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে সহায়ক করে।
অপর দিকে গেস্ট ব্লগিং হলো ওয়েবসাইট বা ব্লগে আপনার কনটেন্ট প্রকাশের প্রক্রিয়া।
এটি একটি অত্যন্ত কার্যকর কৌশল, কারণ এটি আপনাকে নতুন অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে
এবং আপানার ব্র্যান্ডের পরিচিত বাড়াতে সহায়তা করে। গেস্ট ব্লগিং করলে শুধু
ট্রাফিক বৃদ্ধি হয় না বরং ব্যাকলিংকের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন অপটীমাইজেশনের সুবিধা
পাওয়া যায়। ব্যাকলিংক মানে হলো আপনার সাইটের লিংক অন্য সাইটে থাকা, যা গুগল ও
অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার সাইটকে বিশ্বাসযোগ্য হিসাবে মনে করায়।
গেস্ট ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনি আপনার বিশেষজ্ঞতা প্রদর্শন করতে পারেন এবং পাঠকের
সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন। নিয়মিত এই কৌশলগুলো ব্যবহার করলে দীর্ঘমেয়াদের
একটি শক্তিশালি ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর উপায় এ আপনার ডিজিটাল
মার্কেটিং প্রচেষ্টা আরও কার্যকর হয়। উভয় কৌশল সোশ্যাল বুকমার্কিং ও গেস্ট ব্লগিং
সঠিকভাবে ব্যবহার করলে ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানো, এবং ওয়েবসাইট একটা ভালো পজিশনে
গিয়ে দাঁড়ায়।
ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক তৈরি করা কী?
ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক তৈরি করা হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (SEO) একটি
গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ব্যাকলিংক আসলে অন্য কোনো ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটে দেওয়া
লিংককে বোঝায়। এটি সার্চ ইঞ্জিনকে জানান দেয় যে আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট
মূল্যবান এবং অন্যরা সেটিকে রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করেছে। মানসম্মত ব্যাকলিংক
তৈরি কোড়লে ওয়েবসাইটের অথরিটি বৃদ্ধি পায় এবং গুললের মতো সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংকিং
উন্নত হয়।
আরো পড়ুনঃ
অনলাইনে সার্ভে করে কিভাবে টাকা আয় করবেন
সাধারণত ব্লগ পোস্টে গেস্ট পোস্ট করা, সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং, ডিরেক্টরি
সাবমিশন, ফোরাম বা কমিউনিটিতে অংশগ্রহণ এবং মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করার
মাধ্যমে ব্যাংক লিঙ্ক তৈরি করা হয়। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন ব্যাক লিঙ্কগুলো
প্রাকৃতিক হয়, অপাসঙ্গিক সাইট থেকে না আসে। কারণ নিয়ম কারণ নিম্নমানের ব্যাঙ্ক
লিংক সাব ইঞ্জিনের চোখে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই নিয়মিত মানসম্মত
ব্যাঙ্ক লিংক তৈরি করা ওয়েবসাইটে দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য অত্যন্ত
জরুরী।
নিয়মিত আর্টিকেল লেখে পাবলিশ করা
নিয়মিত আর্টিকেল লেখে ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস যা
ওয়েবসাইটের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে।প্রতিদিন বা নির্দিষ্ট সময়
অন্তর নতুন কনটেন্ট প্রকাশ করলে গুগলসহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন আপনার সাইটকে
সক্রিয় এবং আপডেটেড ওয়েবসাইট হিসেবে বিবেচনা করে। এর ফলে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার
ওয়েবসাইট দ্রুত ইনডেক্স হয় এবং কিওয়ার্ড অনুযায়ী র্যাঙ্কিং উন্নত হওয়ার সুযোগ
তৈরি হয়। এছাড়া নিয়মিত আর্টিকেল প্রকাশ করলে ভিজিটররা আপনার ওয়েবসাইটে বারবার
ফিরে আসে, কারণ তারা জানে এখানে নতুন ও দরকারি তথ্য পাওয়া যাবে।
এভাবে ধীরে ধীরে একটি নির্ভরযোগ্য পাঠকগোষ্ঠী তৈরি হয়, যারা আপনার কনটেন্টের
উপরে আস্থা রাখে। তদুপরি, নিয়মিত কনটেন্ট প্রকাশ করা মানে শুধু পরিমাণ বাড়ানো
নয়, বরং মানসম্মত এবং ভ্যালু-অ্যাডেড লেখা উপস্থাপন করা। এতে আপনার ওয়েবসাইট
অন্য প্রতিযোগীদের থেকে আলাদা হয়ে ওঠে। ভালো মানের লেখা শেয়ার হলে সোশ্যাল
মিডিয়া থেকেও অতিরিক্ত ট্র্যাফিক পাওয়া যায়, যা ওয়েবসাইটের সফলতার জন্য নিয়মিত
আর্টিকেল লেখা এবং প্রকাশ করা অত্যন্ত জরুরি।
ইউজার এক্সপেরিয়েন্স কি? এর কাজ কি
ইউজার এক্সপেরিয়েন্স হলো কোনো ব্যবহারকারি যখন একটি ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ বা
যেকোনো ডিজিটাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করে তখন তার সামগ্রিক অভিজ্ঞতা। সহজভাবে
বললে, একজন ভিজিটর যখন কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে, সেই ওয়েবসাইট ব্যবহার তার
আরাম, সুবিধা,গতি, তথ্য খোঁজার সহজতা এবং সন্তুষ্টির মাত্রাকেই
ইউজার এক্সপেরিয়েন্স বলা হয়। একটি ওয়েবসাইটের ডীজাইন, নেভিগেশন, কনটেন্ট, লোডিং স্পিড,
রঙ এবং ফন্টের মান সবকিছু মিলিয়ে UXনিধারন হয়।
ভালো ইউজার এক্সপেরিয়েন্স মানে হলো ব্যবহারকারী তার প্রয়োজনীয় তথ্য সহজে পেয়ে
যাচ্ছে এবং সাইটে থেকে আরও সময় কাটাচ্ছে। ইউজার এক্সপেরিয়েন্স মূল কাজ হলো
ব্যবহারকারীর জন্য ওয়েবসাইট বা অ্যাপকে আরও সুবিধাজনক করে তোলে। উদাহরণস্বরুপ যদি
একটি ওয়েবসাইটে তথ্য খুঁজতে গিয়ে ভিজিটরকে অনেক সময় নিতে হয় বা ডিজাইন বুঝাতে
অসুবিধা হয়। তবে সে দ্রুত সাইট ছেড়ে চলে যাবে।
অন্যদিকে যদি ওয়েবসাইটটি দ্রুত লোড হয়, স্পষ্টভাবে সাজানো মেনু থাকে,কনটেন্ট পড়তে
সহজ এবং ভিজ্যুয়ালি আকর্ষণীয় হয়, তবে ভিজিটর খুশি মনে সাইটে বেশি সময় থাকবে। এতে
করে শুধু ভিজিটরের সন্তুষ্টিই বাড়ে না, বরং সার্চ ইঞ্জিনও ওয়েবসাইটকে
মানসম্মত হিসাবে বিবেচনা করে, ফলে SEO র্যাঙ্কিং উন্নত হয়। ব্লগার ওয়েবসাইটে
অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর উপায় ইউজার এক্সপেরিয়েন্স হলো এমন একটি বিষয়, যা
ওয়েবসাইটের সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি।
অন-পেজ SEO এর মাধ্যমে কিভাবে ভিজিটর আনবেন
অন-পেজ SEO হলো ওয়েবসাইটের ভেতরের কনটেন্ট ও টেকনিক্যাল অংশ অপটিমাইজ করার
প্রক্রিয়া, যাতে সার্চ ইঞ্জিন সহজে বুঝতে পারে আপনার সাইটে কী আছে এবং ভিজিটরদের
জন্য সেটি উপকারী কিনা। অন-পেজ SEO সঠিকভাবে করলে ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনে ভালো
র্যাঙ্ক পায় এবং অর্গানিক ভিজিটর বাড়ে। প্রথমেই সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে।
ভিজিটররা যে শব্দ বা প্রশ্ন ব্যবহার করে গুগল সার্চ করে, সুগুলোকে আপনার
আর্টিকেলে স্বাভাবিক ভাবে যুক্ত করুন।
এর পর আকর্ষনীয় ও তথ্যবহুল টাইটেল ট্যাগ লিখুন,যাতে কিওয়ার্ড থাকে এবং পড়তে আগ্রহ
তৈরি করে। একইভাবে প্রতিটি পোস্টে ইউনিক ও সংক্ষিপ্ত মেটা ডিসক্রিপশন যোগ করতে
হবে, যা সার্চ রেজাল্ট ভিজিটরকে ক্লিক করতে উৎসাহিত করবে। পোস্টের ভিতরে হেডিং
(H1 H2 H3) সঠিকভাবে ব্যবহার করা খুবই জরুরি। এতে কনটেন্ট পড়তে সহজ হয় এবং সার্চ
ইঞ্জিনও বুঝতে পারে কোন অংশটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি আর্টিলেকে ভেতরের
লিঙ্ক Internal Linking যুক্ত করলে ভিজিটর আপনার ব্লগের অন্য কনটেন্টও দেখতে
আগ্রহী হয়, ফলে ওয়েবসাইটে সময় বেশি কাটায়।
লেখকের শেষ কিছু কথা
এই পোস্টে ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করা হয়েছে। অর্গানিক ভিজিটর পাওয়ার কোনো যাদুর বিষয় নয়, এটি আসে ধৈর্য,
নিয়মিত পরিশ্রম এবং সঠিক কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে। ব্লগার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়াতে
হলে সর্বপ্রথম ভিজিটরের প্রয়োজন বুঝাতে হবে এবং সেই অনুযায়ী মানসম্মত কনটেন্ট
তৈরি করতে হবে। মনে রাখবেন, সার্চ ইঞ্জিন সবসময় সেই ওয়েবসাইটকে অগ্রাধিকার দেয়,
যেখানে তথ্য স্পষ্ট, সঠিক এবং ব্যবহারকারীর জন্য সহায়ক। তাই তাড়াহুড়ো না করে ধাপে
ধাপে SEO শিখে সেটি প্রয়োগ করুন এবং নিয়মিত ভাবে ওয়েবসাইট আপডেট রাখুন।
এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের যদি উপকারি তথ্য
পেতে চান যেটা থেকে আপনার ইনকাম করার মাধ্যম খুজে পাবেন তাহলে আমাদের আর্টিকেল
আপনি প্রতি নিয়তো পাবেন। কারন আমরা নিয়মিত তথ্য বিষয় নিয়ে আর্টিকেল প্রকাশ করে
থাকি। আপনি সময় নষ্ট না করে সময়কে কাজে লাগিয়ে নিজের স্বপ্ন এর পথে এগিয়ে যান।
ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর উপায় এ আপনি এর মাধ্যমে প্রতিমাসে
ইনকাম করতে পারবেন।
ট্রিক্সমিয়া নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url